বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা বেতন ও ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।

sundarbannewsbd.blogspot.com

বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা বেতন ও ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।

বিকেলে মিরপুরে শেরে-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন একাডেমি মাঠে এক সংবাদ সম্মেলন করে তারা এগারো দফা দাবি তুলে ধরেন।
ক্রিকেটাররা বলছেন, তাদের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত তারা সব ধরণের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ ও অনুশীলনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন।
এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমসহ অন্তত ত্রিশ জন ক্রিকেটার উপস্থিত ছিলেন। এদের অধিকাংশই জাতীয় দলের খেলোয়াড়।
এমনিতে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে যাওয়ার কথা খুব একটা শোনা যায় না।
এর আগে ১৯৯৯ সালে একবার ধর্মঘটে গিয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
এমন সময়ে এই ধর্মঘটের ডাক দিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা, যখন আগামী মাসেই একটি দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ খেলবার জন্য ভারত যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের।
সংবাদ সম্মেলনে এক একজন ক্রিকেটার এক একটি দাবির কথা তুলে ধরেন এবং তাদের বক্তব্য জানান।

সাংবাদিকদের সামনে দাবিদাওয়া তুলে ধরছেন সাকিব আল হাসানছবির কপিরাইটফারজানা জহির
Image captionসাংবাদিকদের সামনে দাবিদাওয়া তুলে ধরছেন সাকিব আল হাসান

সাকিব আল হাসান বলেন, "ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ম্যাচ ফি হওয়া উচিৎ এক লাখ, স্যালারি ৫০ শতাংশ বাড়তি প্রয়োজন।"
তিনি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটারদের দৈনিক ভাতা, ভ্রমণ ভাতা এবং আবাসন ভাতা বাড়ানোরও দাবি জানান।
বাংলাদেশে যেভাবে ক্রিকেট লিগ চলছে তা নিয়ে আপত্তি জানান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তারা দাবি জানান, প্রিমিয়ার লিগ ও ক্রিকেট লিগ আগের নিয়মে হোক।
বিপিএল প্রসঙ্গে মুশফিকুর রহিম বলেন, "এবার যেটা হচ্ছে সেটা আমরা সম্মান করি, কিন্তু আগামী বছর থেকে আমরা আগের নিয়মের বিপিএল চাই।"
স্থানীয় ও বিদেশী ক্রিকেটারদের আর্থিক বৈষম্য দূর করারও দাবি জানান মুশফিকুর রহিম।
বোর্ড কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে নাইম ইসলাম বলেন, "আমরা কখনো পাইনি তারা ক্রিকেটারদের নিয়ে কিছু বলছেন বা করছেন।"
তাঁরা ক্রিকেটারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ দাবি করেন।
ক্রিকেটারদের এসব দাবি-দাওয়া প্রশ্নে বোর্ডে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক নিজামুদ্দিন চৌধুরী বলেন, "এই ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড"।

Comments

Popular posts from this blog

বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু চাচা আবারও বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন লাভ করায় আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভ কামনা নিরন্তর।

মাননীয় মন্ত্রীর জীবনী